রাজিব রায়হান, জাবি: গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশে বইছে তীব্র তাপদাহ। এর মধ্যেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শুরু হয়েছে লোডশেডিং। ক্যাম্পাসে দিনে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ বার ঘণ্টাব্যাপী বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে তীব্র গরমের মধ্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, দিনরাত মিলে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে কাটাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা ও দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। লোডশেডিং কমাতে কর্তৃপক্ষ স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে এখন প্রতিনিয়তই লোডশেডিং হচ্ছে। এতে প্রচণ্ড দাবদাহ ও ভ্যাপসা গরমে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, ক্ষতি হচ্ছে তাঁদের পড়াশোনায়। এ ছাড়া রাতে লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের ঘুমাতে কষ্ট হচ্ছে। এভাবে অতিরিক্ত মাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদারকির মাধ্যমে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান তাঁরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার মিড-টার্ম পরীক্ষা চলছে। সকাল থেকে ৫ থেকে ৬ বার লোডশেডিং হয়েছে। একেবারে অসহনীয় অবস্থা। এভাবে লোডশেডিং বাড়ায় পড়াশোনায় ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রিপন বারী বলেন, আমার দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার মধ্যে বারবার লোডশেডিংয়ে পড়াশোনা তো ঠিকভাবে হচ্ছেই না বরং আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) শরীফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, লোডশেডিং এখন জাতীয় সমস্যা। প্রচণ্ড তাপদাহে সারাদেশেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত জ্বালানির ঘাটতি থাকায় বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়েনি। ফলে বিভিন্ন সময় লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। আর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ কিনে সেটা ব্যবহার করে থাকি। এখানে আমরা নিজেরাও গ্রাহক হিসেবে কাজ করি। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকেই মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুতের বণ্টন করা হয়। তাপদাহ একটু কমলে লোডশেডিংয়ের সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার আবু হাসান বলেন, লোডশেডিং এখন একটি জাতীয় সমস্যা। আমরা তারপরেও বিদ্যুৎ অফিসে কথা বলেছি তারা যাতে অফিস টাইমে বিশেষ করে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লোডশেডিং না দেয়। তবে তারা চেষ্টা করছে যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে লোডশেডিং না হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এসআই/
মন্তব্য করুন