শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিন স্কুলের বিশ বছরপূর্তী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপি কর্মসূচী ঘোষণা করে সংগঠনটি। কর্মসূচীর প্রথমদিন কিন স্কুলের শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী ও সংগঠনের শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বের হয় ‘কিন’। তাদের এবারের আনন্দ ভ্রমনের সঙ্গী হয়েছিল ‘একত্রিশের ডাকপিয়ন’।
কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিন ২৫ মে কিন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে বিকাল ৩ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বন্য প্রাণীদের অভয়ারন্য সিলেটের ইকো পার্কের উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। তাদের প্রথম দিনের কর্মসূচীর এই যাত্রায় সঙ্গী হয়েছিল সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ‘একত্রিশের ডাকপিয়ন’। যারা একত্রিশের ডাকপিয়ন শিরোনামে সুবিধা বঞ্চিতদের উন্নয়নে কাজ করে আসছে।
টিলাগড় ইকো পার্কে পৌছানোর পর শিক্ষার্থীরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে পার্কে সংরক্ষিত ময়ূর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হরিণ, অজগর সাপ, এবং বানর পরিদর্শন করে। বন্যপ্রানী পরিদর্শন শেষে জুমার নামাজের পর সকলের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেন ‘একত্রিশের ডাকপিয়ন’ এর সদস্যরা। খাবার গ্রহণের পর শিক্ষার্থীদের নিয়ে খেলাধুলার ব্যবস্থা করে ‘কিন’। বল পাস, বল নিক্ষেপসহ নানা ধরনের খেলায় মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। খেলাধুলার শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
একত্রিশের ডাকপিয়নে সদস্য আজিজুল ইসলরাম রাহিম বলেন, সমাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের সাধ্যমতো কিছু করার চেষ্টা করেছি। সমাজের সকলেই যদি সুবিধাবঞ্চিতদের কল্যাণে এগিয়ে আসে তাহলে সমাজ আরো সুন্দর হবে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩১তম ব্যাচ সমাজের ‘ডাকপিয়ন’ হয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাড়াতে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে চায়।
সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমণ নিয়ে কিনের সভাপতি মোসাম্মৎ ইসরাত জাহান রিফা বলেন, “কিন স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী শাবিপ্রবির নিকটবর্তী এলাকায় বসবাস করে। তাদের জীবনযাপন অন্যান্য স্বাভাবিক শিশুদের মতো নয়। প্রায় দুইবছর পর স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দ ভ্রমণ সম্পন্ন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। কিনের শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে বরাবরের মতো সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য যে ২০০৪ সালের ২৬শে মার্চ ‘চেনা হোক প্রতি মুখ শিক্ষার আয়নায়’ মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে যাত্রা শুরু করে কিনের অন্যতম উইং ‘কিন স্কুল’। সামাজিক সচেতনতা, কিন ব্লাড, চ্যারিটি এবং শীতবস্ত্র সংগ্রহ ও বিতরণ কর্মসূচিসহ সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
আরএন/
মন্তব্য করুন