রুয়েট প্রতিনিধি:
কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে করছেন তারা।
সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর সামনে বিভিন্ন রকম প্লেকার্ড নিয়ে তারা জড়ো হোন। তারপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তালাইমারি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফলকে অবস্থান করেন তারা।
এসময় ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কামব্যাক’, ‘জেগেছে রে জেগেছে রূয়েটবাসী যেগেছে’, ‘সংবিধান পরিপন্থী কোটা ব্যবস্থা নিপাত যাক’, ‘স্বাধীন বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’ , ‘হয় যদি কোটার চাষ পড়বো কেন বারো মাস’, ‘আঠারোর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ , ‘সারা বাংলায় খরব দে কোটা প্রথার কবর দে’ এমনসব স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ইমন বলেন, আমরা মূলত কোটা সংস্কারের দাবিতে এখানে এসেছি। বিভিন্ন রকম কোটার কারণে আমাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটার প্রভাব অনেক বেশি। আমরা কোটা বাতিল চায় না কিন্তু চাই এটা সংস্কার করা হোক। ১০% মুক্তিযোদ্ধা আর বাকি ১০% অন্যান্য কোটা থাকলে ভালো হয়। যাদের আসলেই প্রয়োজন শুধুমাত্র তাদেরকেই কোটার আওতায় আনা উচিত। প্রতিবন্ধী বা উপজাতিদের কোটা দেওয়া যায় ।
টেক্সটাইল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহাদ বিন ইউসুফ জানান, ১৯৭২ যখন আমাদের সংবিধানে কোটা আসা হলো এটা ছিলো অস্থায়ী। যেখানে সংবিধানের ২৮(৪) নং বলা হয়ে হয়েছে যারা পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী শুধু তাদের জন্য এ কোটা বরাদ্দ থাকবে। থার্ড জেনারেল কখনোই পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী বলা যায় না।
তিনি আরো বলেন, আমরা ২০১৮ সালের যে আন্দোলন ছিল এটা কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল নট কোটা বাতিলের আন্দোলন। কিন্তুু বর্তমানে সরকারি চাকুরী যে কোটা করা হয়েছে এটা পুরাটায় সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাবিল ফাহমিদ বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেকে ক্যাম্পাসে আসেননি যার কারণে আমরা আন্দোলনটা শুরু করতে পারিনি। সবাইকে এক করতে আমাদের একটু দেরি হয়ে গেল আন্দোলন শুরু করতে। আমাদের আন্দোলন আপাতত একদিনের জন্য ছিল এরপরে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া দেখবো। যদি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকে তাহলে পরবর্তীতে আমরা আবারো আন্দোলনে নামবো।
আন্দোলনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ইমন বলেন, আমরা মূলত কোটা সংস্কারের দাবিতে এখানে এসেছি। বিভিন্ন রকম কোটার কারণে আমাদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটার প্রভাব অনেক বেশি। আমরা কোটা বাতিল চাই না কিন্তু চাই এটা সংস্কার করা হোক। ১০% মুক্তিযোদ্ধা আর বাকি ১০% অন্যান্য কোটা থাকলে ভালো হয়। যাদের আসলেই প্রয়োজন শুধুমাত্র তাদেরকেই কোটার আওতায় আনা উচিত। প্রতিবন্ধী বা উপজাতিদের কোটা দেওয়া যায় ।
টেক্সটাইল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহাদ বিন ইউসুফ জানান, ১৯৭২ যখন আমাদের সংবিধানে কোটা দেওয়া হয়েছিল, সেটা ছিল অস্থায়ী। যেখানে সংবিধানের ২৮(৪) নং বলা হয়ে হয়েছে যারা পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী শুধু তাদের জন্য এ কোটা বরাদ্দ থাকবে। মুক্তিযোদ্ধাদের থার্ড জেনারেশন কখনোই পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী বলা যায় না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ২০১৮ সালের যে আন্দোলন ছিল এটা কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল, নট কোটা বাতিলের আন্দোলন। কিন্তুু বর্তমানে সরকারি চাকুরীতে যে কোটা করা হয়েছে এটা পুরোপুরি সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাবিল ফাহমিদ বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেকে ক্যাম্পাসে আসেননি যার কারণে আমরা আন্দোলনটা শুরু করতে পারিনি। সবাইকে এক করতে আমাদের একটু দেরি হয়ে গেল আন্দোলন শুরু করতে। আমাদের আন্দোলন আপাতত একদিনের জন্য ছিল এরপরে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া দেখবো। যদি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকে তাহলে পরবর্তীতে আমরা আবারো আন্দোলনে নামবো।
আরএন/
মন্তব্য করুন