জাবি প্রতিনিধি:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক-সাংবাদিকরাও আহত হয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী শিক্ষকদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। গণমাধ্যমকে তিনি হামলার বিষয়ে তার বক্তব্য দিয়েছেন।
কামরুল আহসান বলেন, সোমবার দিনগত রাত ২টার দিকে এ হামলা চালানো হয়। উপাচার্যের বাসায় যখন শিক্ষার্থীরা আশ্রয় গ্রহণ করে তখন সন্ত্রাসীরা উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ করে। উপাচার্য ভবনে আমরা কয়েকজন শিক্ষক প্রবেশ করি। এরপর প্রক্টর ও কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষকের সাথে কথা বলছিলাম।
এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা উপাচার্যের বাসার মেইন গেট ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে। এসময় সশস্ত্র অবস্থায় সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা চালায় তারা। আমরা তখন উপাচার্যের বাসার একটি কক্ষে আশ্রয় নিই।
কিন্তু সশস্ত্ররা আমাদের শিক্ষক পরিচয় জানার পরও হামলা চালিয়ে যেতে থাকে। সন্ত্রাসীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতদের উপস্থিতি ছিল। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এসে আমাকে উদ্ধার করে। তবে এর মধ্যে প্রায় সকল শিক্ষক এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ হামলার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশের হামলা শুরু হয়। তারা গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু যখন সন্ত্রাসীরা যখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে তখন পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম তাণ্ডব এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা আমি কখনো দেখিনি।
হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের প্রাধ্যক্ষদের নিয়ে আলোচনা করব। দ্রুত সময়ের মধ্যে অছাত্রদের হল থেকে বের করা হবে।
আরএন/
মন্তব্য করুন