বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুজাহিদুল ইসলাম। পাশাপাশি প্রশাসনের ব্যার্থতা ও করণীয় দিকগুলোও বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। ৩ আগস্ট (শনিবার) সকাল ১১টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি দীর্ঘ পোস্টে এসব বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
আবু সাঈদ নিহতের পূর্বে এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেসব গাফেলতি দেখিয়েছে সেগুলোও তুলে ধরেন তিনি।শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃঢ় ভূমিকার সাথে তুলনা করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। সহকারী অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলামের মতে, প্রশাসন সামান্য দায়িত্বশীল হলে আবু সাঈদের মৃত্যু এড়াতে পারতো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরের যে শক্ত অবস্থান গ্রহন করতে হতো তা গ্রহনে প্রশাসন পুরোপুরি ব্যার্থ হয়েছে।
এছাডাও, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করার দায়িত্বও ছিলো প্রশাসনের।
এছাড়াও,ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের পর তার মরদেহ হস্তান্তরে যে বিলম্ব হয়েছে, পুলিশ আবু সাঈদের লাশ নিয়ে যাওয়াতে হস্তক্ষেপ না করা এসব বিষয়ে প্রশাসনকে দায়ী করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের এরূপ ব্যার্থতার কারন গুলোও উঠে এসেছে তার বক্তব্যে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিকতার ঘাটতি, অযোগ্য এবং দূর্বল নার্ভের ব্যক্তিকে দ্বায়িত্ব দেওয়া ও প্রশাসনের স্বার্থপর আচরনকে দায়ী করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র জরে বিগত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হয়। আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়তে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে। একাধিক প্রশাসনের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির উপর সরাসরি গুলি করার নির্দেশ প্রদানের অভিযোগও করেছে অনেকে।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন