এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ইসরায়েলে হামলা থেকে পিছু হটতে বলার পশ্চিমা আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর শপথ গ্রহণের দিনই তেহরানে অতিথি হয়ে আসা হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হত্যার জবাব দেওয়ার অধিকার তাঁর দেশের রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যের নেতারা ইরানকে পিছু হটতে বলার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে রাজনৈতিক যুক্তির অভাব রয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার গত সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টার প্রতি সমর্থন জানান। ইউরোপীয় নেতারা হামাসের হাতে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার ও গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বাধা দূর করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তাঁরা ইরান ও তার মিত্রদের ইসরায়েলে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকতে বলেন। তাঁদের মতে, এতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যাবে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তেহরানকে হামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
হোয়াইট হাউস সতর্ক করে বলেছে, ইরান ও তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দ্রুতই ইসরায়েলে ‘উল্লেখযোগ্য হামলা’ চালাতে পারে। একই ধারণা পোষণ করে ইসরায়েল।
গত ৩১ জুলাই হামাসপ্রধান হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, তেহরানে তিনি যে অতিথিশালায় অবস্থান করছিলেন, সেখানে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে বলেছেন, গত জুলাই মাসে হানিয়াকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়াকে অধিকার বলে মনে করে ইরান। ভবিষ্যতে ইসরায়েলি আগ্রাসনকে নিরুৎসাহিত করতে এটাই সঠিক পথ। ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনা জানায়, গত সোমবার স্টারমারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পেজেশকিয়ান।
এসএস/
মন্তব্য করুন