এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: তেহরানের মাটিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরপর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইরান। তবে তাৎক্ষণিক সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি দেশটি।
কিন্তু এখন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। শোনা যাচ্ছে, হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর চুপ থাকার আড়ালে যুদ্ধপ্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশটি। বলা হচ্ছে, হামলার সম্ভাব্য তারিখের হিসাব-নিকাশে ঘুরছে ১৫ আগস্ট।
হানিয়ার হত্যার দায় চাপিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের চরম শত্রু ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে চায় মাসুদ পেজেশকিয়ানের সরকার। এখন সম্ভাব্য হামলার আতঙ্কে দিন কাটছে ইসরায়েলিদের।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ইরানের সামরিক প্রস্তুতি দেখে মনে হয়েছে ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে তেহরান। তবে ঠিক কবে ইরান হামলা চালাবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। রাভিড বলেন, আগামী ১৫ আগস্টের আগেই এ হামলা চালাতে পারে ইরান। ওই দিন গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আলোচনায় বসবে। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। গেল জুলাই থেকেই মধ্যপ্রাচ্য তেতে আছে। বৈরুতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের শীর্ষ একজন কমান্ডার ফুয়াদ শুকুর ও ইরানে হানিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় বড় সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইরান ও তার মিত্র মিলিশিয়ারা একযোগে ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে।
এসএস/
মন্তব্য করুন