এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: ভারত বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে বন্যা উপহার দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশি দেশ (ভারত) শুকনো মৌসুমে পানি আটকিয়ে রাখে। আর বর্ষার সময় একসঙ্গে সব গেট খুলে দেয়। শুনে আসছি, প্রতিবেশি দেশটি আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। কিন্তু তারা গ্রীষ্মে পানি না দিয়ে আমাদের দেশকে বানায় মরুভূমি। আমাদেরকে পানি না দিয়ে পিপাসাক্ত করে দেয়। আর বর্ষার সময় পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে বন্যা উপহার দেয়। আমরা অবাক!
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কেল্লা এলাকায় পানিবন্দি দুর্গত বাসিন্দাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াতের আমির আরও বলেন, সাড়ে ১৫ বছর আমাদের একটা সরকার ছিল। তারা বলতো দেশকে সিঙ্গাপুর ও কানাডা বানিয়েছে। এ হল সিঙ্গাপুর ও কানাডার দৃশ্য। তারা বলতো- আমাদেরকে নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে উঠাইছে। তাদের সব ছিল মিথ্যা ও ভোগাছ। তারা জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ নিজের বাসায় পর্দা লাগালে বলতো- সে ঘরে ‘জঙ্গি’ আছে। ওদের মাথায়-মগজে সবসময় ‘জঙ্গি’, ‘জঙ্গি’ ভাব ছিল। আসলে ‘জঙ্গি’ ছিল তারা। তারা মাথায় হেলমেট পড়ে মুগুর হাতে নিয়ে মানুষের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। আমাদের ছাত্র-তরুণ ও যুব সমাজ বুক পেতে দিয়েছে। আর বুকে গুলি নিয়ে তাদেরকে (আওয়ামী লীগ) বাংলার বুক থেকে তাড়িয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসনকারীদের পালাতে হবে কেন?
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে। কেউ কাউকে বাঁধা দেবে না। আফসোস বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান। এরপরও বাংলাদেশে একমাত্র সংখ্যালঘু হচ্ছে মুসলমান। সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্মীয় অনুশাসন পালন করে, তাতে বাঁধা নেই। কিন্তু একজন খতিবকে মিম্বারে দাঁড়িয়ে তার ইচ্ছে মতো বক্তব্য দিতে দেবে না। ওয়াজ মাহফিলের মাইক কেড়ে নেবে। তফসির মাহফিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। ১৪৪ ধারা জারি করবে। পুলিশ পাঠিয়ে দেবে, ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ করবে। বাংলার মানুষ আর ভবিষ্যতে তা হতে দেবে না। ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাতে হাত রেখে বাংলাদেশকে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নেব।
এসআই/
মন্তব্য করুন