এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শিগগিরই সংস্কারের একটি রূপরেখা দেবেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। যা শেষ হয় রাত ৮টার দিকে। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, মতবিনিময়ে হেফাজতে ইসলামের নেতারা বলেছেন, তাদের দুইশোর মতো মামলা এখনো রয়ে গেছে। সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। ২০১৩ সালে হেফাজতের ওই সমাবেশের সময় একটা বড় ধরনের হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। এরপরে ২০১৬ এবং ২০২১ সালে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন ওই সময় প্রতিবাদে অনেকেই মারা গেছেন। এসব বিষয়ে নেতৃবৃন্দ নতুনভাবে তদন্ত চেয়েছেন যাতে ওনারা জানতে পারেন ঠিক কতজন মারা গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শিক্ষানীতি নিয়েও কথা বলেছেন। তারা বলেছেন যে, তারা শিক্ষানীতির সংস্কার চান। ইসলামী দলগুলো তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। বিশেষ করে গ্রেপ্তারের পর হেফাজতে যে নির্যাতন করা হয়, কয়েকজনকে খুব বেশি নির্যাতনের কথাও তারা বলেছেন। অনেকগুলো রাজনৈতিক দল প্রকৌশল রিপ্রেজেন্টেশনের কথা বলেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, একটি রূপরেখা প্রধান উপদেষ্টা শিগগিরই দেবেন। তার আগে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর কথা ভালোভাবে শুনছেন। আগামীতে আরো অনেক কথা হবে। এরপরই তিনি একটির উপর দাঁড় করাবেন।
তিনি বলেন, এর আগে কিন্তু বিএনপির সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। আপনারা জানেন যে, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকার এসেছে। তাহলে এই সরকারের কাছে ছাত্র জনতার চাওয়াটা কি? মূল চাওয়াটা হচ্ছে সংস্কার কিভাবে হবে। আপনি কি সেটা এই সংবিধান দিয়ে করবেন। নাকি সংবিধান সংশোধন করবেন। এই কথাগুলো তো পলিটিক্যাল পার্টিগুলোই জানাবে। আর এই কথাগুলোই উনি জানতে চেয়েছেন পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর কাছ থেকে।
‘অনেকেই এই কথাগুলো বলেছেন। যেমন জাতীয় পার্টি বলেছে যে, সংবিধান সংশোধন করার কথা। একইসঙ্গে তাদের একজন নেতা বলেছেন যে, বিদ্যমান কাঠামোতেই সংবিধানকে নতুনভাবে লেখা যায়। গণফোরামের পক্ষ থেকেও একই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। তবে তারা এটি আরো কংক্রিট আকারে জানাবেন। কেননা তাদের দলেরই কয়েকজন এটা নিয়ে ডিফার করছেন,’ বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, মোটকথা হলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মাত্র তিন সপ্তাহ হয়েছে এই সময়ের মধ্যে উনি প্রায় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসছেন এবং তিনি জানতে চাচ্ছেন যে কি করলে কি করা যায়। অনেকেই বলেছেন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা একটু বাড়ানো হোক। আবার যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি যেন দুইবারের বেশি না হতে পারেন এ ধরনের কথা অনেকবার এসেছে।
এসএস/
মন্তব্য করুন