ডেস্ক রিপোর্ট: কোলাদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, পাবনা সদর উপজেলার কোলাদী গ্রামের সর্ববৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন। আজ কোলাদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। সামাজিক কর্মকান্ড ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় সংগঠনের একের পর এক ব্যতিক্রমী সেবামূলক কার্যক্রম। গ্রামের অসুস্থ ও বৃদ্ধ মানুষকে দেখতে যাওয়া, কৃতি শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠান করে সম্মাননা প্রদান, শিক্ষার্থীদের জন্য মোটিভেশনাল স্পিকার এনে মোটিভেশন প্রদান, কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন, গ্রামের একমাত্র দাখিল মাদ্রাসাকে পুনরায় সচল এবং সাফল্যের সাথে পরিচালনা করা, মাদ্রাসায় ৪০ হাত বিশিষ্ট পাঁকা ঘর ওঠানো। গ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ গ্রামের মানুষের বিশেষ করে প্রবাসীদের সহযোগিতায় অসংখ্য কাজ এই দুই বছরে কোলাদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বাস্তবায়ন করেছে।
কোলাদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে আরও গতিশীল, সচ্ছতা, জবাবদিহীতা ও কাজে দায়িত্বের ভিক্তিতে সদস্যের সম্পৃক্ততা বাড়াতে গত ১৬ জুন ২০২৪ (রবিবার) একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। পদভিক্তিক কমিটির সদস্যদের পরিচিতি তুলে ধরা হলো:
১. সভাপতি: মো. রবিউল ইসলাম।
২. পরিচালক: মো. ওয়াহিদুজ্জামান (স্বপন)।
৩. সহকারী পরিচালক: মো. রতন আলী।
৪. কোষাধ্যক্ষ: আব্দুল্লাহ-হিল মারুফ।
৫. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক: মাহমুদুল হাসান (রনি)।
৬. সহশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক: মো. জিয়াউর রহমান খান।
৭. বিদেশ বিষয়ক সম্পাদক: আব্দুল বারী।
৮. সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রধান: মো. শফিকুল ইসলাম।
৯. প্রচার সম্পাদক ও ছাত্র সম্পাদক: মো. তানভীর খান।
১০. নির্বাহী সদস্য: মো. জিলাল উদ্দিন মন্ডল।
১১. নির্বাহী সদস্য মো. সাজেদূর রহমান (টুটুল)।
১২. নির্বাহী সদস্য: মো. নাছির উদ্দিন।
১৩. নির্বাহী সদস্য. বদরুদ্দোজা খান।
১৪. নির্বাহী সদস্য: মো.আতাউর রহমান।
এছাড়া দ্রুত কাজ বাস্তবায়নে বা জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে রবিউল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান স্বপন এবং রতন আলীর উপর ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। কোলাদী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান স্বপন বলেন, এটি একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই দেশ এই কোলাদী গ্রাম আমাদের, এই গ্রামের প্রতিটি বাসিন্দা আমাদের সহোদর। তাই এই গ্রামের উন্নয়নে, মানুষের সেবায় কাজ করতে হবে আমাদের সকলকে। আর নয় ভেদাভেদ, নিজের মন মানসিকতা, দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্য থেকেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিৎ গ্রামের মানুষের দুঃখ-দূর্দশা, বিপদ-আপদে তথা আর্ত মানবতার সেবায়।
এসএস/
মন্তব্য করুন